ভারতে করোনা ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত দু’জনের গত তিন মাসে বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিনশ’ ছাড়িয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতজুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলছে জনতার কারফিউ।
শনিবার রাতে ভারতে নতুন করে দু’জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্ত একজন পুনের নারী, তার বয়স ৪০। আর কলকাতার আক্রান্ত পুরুষের বয়স ৫৭। তবে নতুন সংক্রমিত দু’জনের কারও গত ৩ মাসে বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই।
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার তথ্য গোপন করে দক্ষিণ দমদমের এক বৃদ্ধ। জ্বর, শুকনো কাশি নিয়ে ১৩ মার্চ থেকে ভুগছিলেন। ১৬ তারিখে ভর্তি হন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আক্রান্ত বৃদ্ধের বিদেশ ভ্রমণ, ফেরা বা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার নির্দিষ্ট খবর তারা পায়নি।
পরে অবশ্য দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান খোঁজ নিয়ে জানান, আক্রান্তের ছেলে ইটালিতে পড়াশুনা করেন। সম্প্রতি সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। দেশে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃদ্ধের ছেলেও গত মাসে ইটালি থেকে ফিরেছেন। পরে পুলিশ ওই ছেলে, তার মা-সহ পরিবারের চার জনকে রাজারহাটের ‘আইসোলেশন সেন্টার’-এ নিয়ে গিয়ে রেখেছে।
শনিবার ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছে, ‘রেল যাত্রায় মার্চের ১৩ থেকে ১৬-এর মধ্যে ১২ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে। তাই সংক্রমণ এড়াতে অবিলম্বে রেল যাত্রা বাতিল করুন।’
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৪ জন। গত শুক্রবার একদিনেই এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ৬৩টি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আক্রান্তের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন, যার মধ্যে ইটালি থেকে এদেশে আসা ২০ জন, ফিলিপিন্সের ৩ জন, ব্রিটেনের ২ জন এবং কানাডা, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ১ জন করে নাগরিকের শরীরে মিলেছে ওই সংক্রমণের প্রমাণ।
দিল্লি, কর্নাটক, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র মিলিয়ে মোট ৪ জন এই রোগের কারণে মারা গেছেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন এই রোগ থেকে সেরে উঠেছেন।