করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া নানারকম তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
বুধবার করোনা ভাইরাস ও চীন থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ সাধারণ সর্দিজ্বরের মতো। তাই উপসর্গ নির্ভর চিকিৎসার বাইরে কোনো চিকিৎসা নেই। এজন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে যেসব নানারকম বিষয় ছড়ানো হচ্ছে তাতে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
চীন থেকে ফেরা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। ৩ জন আইসোলেশনে আছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এর মধ্য দুই জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১১ জন।
এখনো পর্যন্ত এদেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি বলে উল্লেখ করেছে আইইডিসিআর। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা জোরদার করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সংস্থাটি কাশি শিষ্টাচার, বারবার হাত ধোয়া এবং পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, চীনা নাগরিকরা যেহেতু অতিথি তাই তারা যেন কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেদিকে খোঁজ রাখছে আইইডিসিআর।
তিনি বলেন, ক্যাম্পে থাকা নাগরিকদের স্বজনরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু তারা যখনতখন তাদের খাবার দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে স্বজনের প্রতি আইইডিসিআরের আহ্বান, সরকারের উদ্যোগে দিনে ৫ বার সুষম খাদ্য দেয়া হচ্ছে। তারপরও যেসব স্বজন খাবার দিচ্ছেন তারা যেন সকালে ১০-১১টা এবং সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে খাবার দেন। তাহলে সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেয়া সহজ হবে।