চীনে উৎপত্তি হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নিয়ে নতুন শঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের বাইরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের ধরণ উদ্বেগজনক।
ইরানসহ সবশেষ আক্রান্তের ঘটনাগুলোতে ভাইরাসের বিস্তার কীভাবে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এসব আক্রান্তরা চীনে আসা-যাওয়া করেননি বা আক্রান্ত অন্য কারো সংস্পর্শে আসেননি। ইরানে শিয়া মুসলিমদের পবিত্র শহর কোম-এ কোভিড-নাইন্টিনে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জনে। এই ঘটনার পরপরই আসলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহাপরিচালক ওই মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।
চীনা নববর্ষের কারণে পুরো চীনের কর্মযজ্ঞ বন্ধ ছিল কয়েক সপ্তাহ, এরপরেও অতিরিক্ত কোয়ারেন্টাইন টাইম ঘোষণা করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে দেশটি। কিন্তু তাতেও আসলে কমেনি বা নিয়ন্ত্রণে আসেনি ওই প্রাণঘাতি ভাইরাস। করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত চীনে ২ হাজার ২শ’ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চীনে অফিস-আদালত-কারখানা খুলতে শুরু করেছে, আবারও রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। ভাইরাস প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার না হলেও ওই প্রক্রিয়া সারাবিশ্বকে নতুন শঙ্কায় ঠেলে দিচ্ছে, যা আরও জোরদার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহাপরিচালকের বক্তব্যে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে কমবেশি সব খাতের আমদানির একটি বড় অংশ চীন থেকে হয়। ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চীন থেকে পণ্য দেশে আসবে, সেসব বিষয় এখনও পরিষ্কার না। এই বিষয়ে সরকারের কার্যকর মনোযোগ একান্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।
আমাদের আশাবাদ, বিভিন্ন খাতের নিয়মিত কার্যক্রম সচল রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে দায়িত্বশীল বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়ী মহল নিশ্চয় কোনো অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করবেন এ বিষয়ে।