দেহে করোনা ভাইরাস না পাওয়ায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চীন থেকে ফেরা ৭ বাংলাদেশিকে আশকোনার হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনের জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।
আর হজ ক্যাম্পে থাকা একজনের ঠাণ্ডাজনিত উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চীন থেকে আসা বাকি ৩১১ জনের মধ্যে সিএমএইচে রয়েছেন ৩ পরিবারের ৮ জন এবং হজ্জ ক্যাম্পে রয়েছেন ৩০৩ জন।
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও দেহে করোনা পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে (বড়পুকুরিয়া, পায়রা বিদ্যুৎ এবং পদ্মা ব্রিজে কর্মরত ২০ জন চীনা নাগরিক নিজ নিজ কর্ম এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সারাদেশের জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার সকালে চীনের উহান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে ১৫ শিশুসহ ৩১২ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনের শরীরে জ্বর থাকায় তাদেরকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আগে থেকে প্রস্তুত রাখা ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ ভর্তি করা হয়। বাকিদের হজ্জ ক্যাম্পের তৃতীয় তলায় ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ডরমেটরিতে রাখা হয়।
এছাড়া অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩৬১ জন দেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত ৩১৬ জন আসতে প্রস্ততি নেয়। তবে চীনে এয়ারপোর্ট থার্মাল স্ক্যানারে ৪ জনের শরীরে জ্বর শনাক্ত হলে শেষ পর্যন্ত ৩১২ জন বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরে।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে করোনা মোকাবেলায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হলে দ্রুত তাকে আলাদা করে করে সংক্রমণ প্রতিরোধের স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।