দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে করোনা ভাইরাস দ্রুত শনাক্ত ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
সোমবার সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল এ আহ্বান জানান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, নতুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে ও প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর এখনই সময়। নতুন বড় ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাস শনাক্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সেবা প্রদানকালে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, সন্দেহভাজন রোগীদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা ও সংক্রমণ কমাতে গাইডলাইন তৈরি করেছে।
‘‘শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন দেশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি সক্ষমতা বৃদ্ধি, নমুনা সংগ্রহ ও প্রেরণ, নমুনা পরীক্ষা ও নির্ণয়, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। গত সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নোবেল করোনা ভাইরাস-২০১৯ নামে পরিচিত এই রোগটিকে এখনো পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি হিসেবে ঘোষণা করেনি ইমারজেন্সি কমিটি অব ইন্টার্নেশনাল হেলথ রেগুলেশন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক এ কমিটি।
এখন পর্যন্ত চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।