জার্মানির এক সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের যে ২০টি দেশে করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলেছে, সেই তালিকায় আছে ভারত। সমীক্ষায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে ১৭তম স্থানে রয়েছে ভারত।
এখন পর্যন্ত চীনে কমপক্ষে ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। গৃহবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। জার্মানির ওই সমীক্ষায় সংক্রমণ সূচকের একদম ওপরে আছে থাইল্যান্ড, জাপান এবং সাউথ কোরিয়া। যে দেশগুলোতে ইতিমধ্যে সংক্রামিতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে।
জার্মানির হাম্বল্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট করা সমীক্ষায় আকাশপথের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে। ভারতের মোট ৪ হাজার বিমানবন্দরের সঙ্গে চীনের সরাসরি যোগাযোগ আছে, তাই ভারতে করোনার সংক্রমণ শঙ্কা শতকরা ০.২১৯ ভাগ।
সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সেই বিমানবন্দরের সংক্রমণ সূচক শতকরা ০.০৬৬ ভাগ। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংক্রমণ সূচক শতকরা ০.০৩৪ ভাগ। এর পরেই আছে কলকাতা বিমানবন্দরের নাম। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরেও আছে সংক্রমণ আশঙ্কা।
চীন থেকে একজনের গন্তব্যের নিরীখে ভারত ও অন্য শহরের প্রেক্ষিত কী, সেটাও মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। আকাশপথে যাতায়াতের পরিপ্রেক্ষিত বিচার করে পর্যালোচনা করা হয়েছে সংক্রমণের মাত্রা। ব্যস্ত বিমানবন্দর ও সংক্রামিত যাত্রীর পরিসংখ্যান রাখা হয়েছে বিবেচনা হিসেবে।
পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বনে ওই রাজ্য প্রায় ২ হাজার জনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছে সরকার। জানুয়ারি মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমান প্রায় ৬০০ জন ভারতীয়কে চিন থেকে দেশে ফিরিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দিলি-হরিয়ানা সীমান্তের মানেসারে তৈরি করেছে বিশেষ পর্যবেক্ষণ শিবির। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নাম দিয়েছে কোয়ারান্টাইন ক্যাম্প। সেই পর্যবেক্ষণ শিবিরে সন্দেহভাজনদের দু’সপ্তাহের জন্য পৃথক ভাবে রাখা হয়েছে।
সংক্রমণ আটকাতে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক বৈধ ভিসা থাকলেও চীন থেকে ভারতে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনা নাগরিক বা পর্যটক, সে দেশ থেকে ভারতে আসার ওপর চলছে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে কেরলের তিনজন করোনা আক্রান্তের প্রমাণ মিলেছে। ওই ৩ জনই পড়ুয়া এবং উহান শহরে থাকতেন।