করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে রোববার সকাল ৭টা থেকেই দেশ জুড়ে জনতা কারফিউ শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, রাজস্থান সমস্ত রাজ্যেই সকাল থেকে রাস্তাঘাট একেবারে পিন পতন নীরবতা।
ভারতীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথম ৯ বছরে বেঙ্গালুরু জুড়ে মেট্রো সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ। জনশূন্য বারাণসী ঘাটও। মুম্বাইয়ের লোকমান্য তিলক টার্মিনাল সকাল থেকেই পুরোপুরি জনশূন্য। রাত ১০টা পর্যন্ত সমস্ত ইন্টারসিটি ট্রেনও বাতিল। এমনকি চেন্নাই বিমানবন্দরেও হাতেগোনা কিছু লোক দেখা গিয়েছে। বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত ম্যাজিস্টিক বাস টার্মিনালেও কোনও যাত্রী নেই।
কোয়মবত্তুরের গাঁধীপূরম ফ্লাইওভার, মুম্বাইয়ের সিয়ন প্যানভেল হাইওয়ে, রাঁচি রেলওয়ে স্টেশন, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ সর্বত্রই একই চিত্র বলে জানা গেছে।
সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের কাছে নির্দেশ পৌঁছেছে, যাতে দমকল, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স বিকাল পাঁচটায় সাইরেন বা ঘণ্টা বাজিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিরন্তর কাজ করে চলা মানুষদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানায়।
জরুরি সার্ভিসে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া সারা ভারত জুড়েই সমস্ত দোকান-বাজার বন্ধ থাকবে পুরোদিন।
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৪ জন। গত শুক্রবার একদিনেই এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ৬৩টি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আক্রান্তের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন, যার মধ্যে ইতালি থেকে এদেশে আসা ২০ জন, ফিলিপাইনের ৩ জন, ব্রিটেনের ২ জন এবং কানাডা, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ১ জন করে নাগরিকের শরীরে মিলেছে ওই সংক্রমণের প্রমাণ।
দিল্লি, কর্নাটক, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র মিলিয়ে মোট ৪ জন এই রোগের কারণে মারা গেছেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন এই রোগ থেকে সেরে উঠেছে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮ হাজার ৫৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৩ হাজার ৬৯ জন। এছাড়াও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯২ হাজার জন।