জৈব সুরক্ষা বলয় (বায়ো বাবল) ব্যবস্থাপনায় শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৩তম আসর। তার আগে করোনা টেস্টে নেগেটিভ হয়েছেন সবাই। তিন দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন শেষে নিজ নিজ ভেন্যুতে আজ অনুশীলনে নেমেছে দলগুলো। রোববার থেকে শুরু মাঠের লড়াই।
অংশগ্রহণকারী আট দলের খেলোয়াড়-কোচ, ম্যাচ অফিসিয়ালসহ আসরটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুইশরও অধিক টেস্ট হয়েছে। স্বস্তির খবর হলো সবাই নেগেটিভ হয়েছেন তাতে। মার্চে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২২তম আসর স্থগিত হয়েছিল করোনার কারণে।
একাধিক দলের খেলোয়াড়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯ ভাইরাস। একাদশ বানাতেই হিমশিত খেতে হয়েছিল সিলেট বিভাগকে। দুই রাউন্ড হওয়ার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা আসরটি পরে বাতিল করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৬ মাস পর নির্বিঘ্নেই শুরু হচ্ছে জাতীয় লিগের নতুন আসর। সারাদেশে করোনারভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে এসেছে অনেকটাই। তারপরও সতর্ক বিসিবি। বায়ো বাবল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটেও।
বিসিবি চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সবাই নেগেটিভ হয়েছেন। দুই দফা টেস্ট নেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়-স্টাফ মিলে আট দলের ২৩জন করে সদস্য, আম্পায়ার, ম্যাচ অফিসিয়াল, বাস ড্রাইভার থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার দুই দফা কোভিড টেস্ট হয়েছে। ভেন্যুতে যাওয়ার আগে একবার হয়েছে। আর ভেন্যুতে গিয়ে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনের মাঝে সবশেষ টেস্ট হয়েছে। খেলা চলাকালীন কারো মাঝে উপশর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করা হবে। সম্পূর্ণ বায়ো বাবল মেইনটেইন করা হচ্ছে জাতীয় লিগে।’
আগামীকাল প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচের দুটিই সিলেটে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অপর দুই ম্যাচ। টায়ার-১ এ থাকছে ঢাকা, খুলনা, সিলেট এবং রংপুর। টায়ার-২ এ অংশ নিচ্ছে ঢাকা মেট্রো, চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং রাজশাহী।
রোববার সিলেট একাডেমি মাঠে স্বাগতিক সিলেট খেলবে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে। পাশেই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন খুলনা লড়বে রংপুরের বিপক্ষে।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তজার্তিক স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর প্রতিপক্ষ বরিশাল বিভাগ। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ রাজশাহী।