কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ২৬৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৯জনের।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ২০১ জনের।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। অন্টারিওতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পণ্যের দাম বাড়ালে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ডলার জরিমানা এবং ১ বছরের জেল দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কানাডা সরকার।
করপোরেশনের ক্ষেত্রে এই জরিমানার পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ১০ মিলিয়ন ডলার। করপোরেশনের ডিরেক্টরদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলার জরিমানা এবং ১ বছরের জেল। অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগফোর্ড আজ এ ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত শুক্রবার করোনা মহামারীর প্রার্দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকৃতির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি ভর্তুকির ঘোষণা দিয়েছেন।
স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে থাকা তার রিডো কটেজে আয়োজিত ‘ডেইলি আপডেটে’ তিনি সে কথা জানান।
তার ভাষায়, ‘এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের আরও বেশি কিছু করা উচিত; সেজন্য উপযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেই ভর্তুকির পরিমাণ ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হচ্ছে, তাদের কর্মদাতাদের ব্যবসা ধীরগতির হয়েছে অথবা বন্ধ করা হয়েছে।’
এতে এই ভর্তুকি সংক্রান্ত প্রণোদনা ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। তবে এখনও এই ভর্তুকির বিশদ জানানো হয়নি, সোমবার তা জানানো হবে।
এছাড়া ট্রুডো জানান, তার সরকার ‘কানাডা ইমার্জেন্সি বিজনেস অ্যাকাউন্ট’ কার্যক্রমের অধীনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকৃতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ডলার পর্যন্ত সুদবিহীন ঋণ প্রদান করবে।
কানাডার আলবার্টায় জনসমাগম ৫০ জন থেকে কমিয়ে ১৫ জন করা হয়েছে।
কানাডাতে সম্প্রতি যারা বাইরের দেশ থেকে আসছেন তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ নিয়ম ভঙ্গকারীদের ৬ মাসের জেল অথবা জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।