চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু

করোনা আক্রান্ত হয়ে বা করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার তিনটি হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা করোনা হাসপাতালের মুখপত্র ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।

গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ১৬১ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ১০২ জন, ইয়ালোজোনে ২০ জন, এইচডিইউতে ১৯ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন।

গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন। এদিকে রোববার রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১৯ জন, যশোরে চারজন, সাতক্ষীরায় একজন, নড়াইলে দুইজন, গোপালগঞ্জ দুইজন, ঝিনাইদহের একজন এবং পিরোজপুরের দুইজন রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার থেকে খুলনা জেলায় এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার খুলনা জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার থেকে লকডাউন চলার সময় খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহির্গমন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে বা আন্তজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে ইজিবাইক, থ্রি–হুইলারসহ সব যানবাহন চলাচল।

জেলা প্রশাসক জানান, লকডাউনের সময় জেলা ও নগরে ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তবে অন্য সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান খোলা রাখা যাবে।

অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে। বার বার সতর্ক করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়েনি।