দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৬৮তম দিনে ২১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪১৪ জন। গতকাল শনিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৫।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু; চার মাস পর সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৬ মে এর চেয়ে কম ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আর নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯৮০ জন। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২২ হাজার ২২১টি পরীক্ষায় ৯৮০ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার চার দশমিক ৪১ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩১২ জনসহ মোট ১৫ লাখ ১১ হাজার ৪৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে (সরকারিতে ১৭ জন ও বেসরকারিতে চারজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৪১৪ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৩১০ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩০০ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ। বাসায় ৭৭০ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮১। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬০৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং নয় হাজার ৮০৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দু’জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও আশিঊর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে দু’জন, খুলনা বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত কোটি ৮৯ লাখের বেশি।