চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনায় সিনেমার সেই ‘শুটার দাদী’র প্রয়াণ

করোনা কেড়ে নিল আরও একটি বর্ণময় জীবন। চলে গেলেন ‘শুটার দাদী’ খ্যাত চন্দ তোমার। দিন কয়েক আগেই এই বর্ষীয়ান শুটারের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসায়, তাকে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না।

তাপসী পান্নু ও ভূমি পেড়নেকার অভিনীত ‘সান্ড কি আঁখ’ ছবির অনুপ্রেরণা এই শুটার দাদী। দৃঢ় দৃষ্টি আর নির্ভুল নিশানায় ভর করে যে কোনও লক্ষ্যকে অচিরে ভেদ করতে পারতেন চন্দ্র তোমার। উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার জহরি গ্রামের বাসিন্দা এই রিভারবার দাদী ও তার অপর জা প্রকাশি তোমারের জীবনকাহিনী ধরা পড়েছিল অনুরাগ কাশ্যপের ‘সান্ড কি আঁখ’ ছবিতে। যেখানে চন্দ তোমারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভূমি।

সম্প্রতি চন্দ তোমারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর তাঁর অফিশিয়াল টুইটারে জানিয়েছিল পরিবার। বর্ষীয়ান শার্পশুটারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ‘সান্ড কি আঁখ’-এর দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র তাপসী পান্নু ও ভূমি পেড়নেকার

টুইটারে তাপসী লেখেন, তুমি আজীবন অনুপ্রেরণা হিসাবে রয়ে যাবে…। তুমি আজীবন বেঁচে থাকবে সেই সব মেয়েদের হৃদয়ে যাঁদের তুমি বাঁচতে পথ দেখিয়েছো। আমার সবচেয়ে কিউট রকস্টার, আশা করছি তুমি শান্তিতে ঘুমোবে।

অন্যদিকে পর্দার চন্দ্র তোমার ভূমি পেড়নেকার লেখেন- চন্দ্র দাদির মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছি। আমার মনে হচ্ছে আমার শরীরের একটা অংশ চলে গেল। উনি নিজের নিয়ম নিজে তৈরি করেছেন এবং মেয়েদের স্বপ্ন দেখবার পথ দেখিয়েছেন। উনার উত্তরাধিকার রয়ে যাবে। পরিবারের প্রতি সমবেদনা। তাকে কাছ থেকে জানবার সুযোগ পেয়ে, তার চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পেরে।

৬৫ বছর বয়সে পিস্তল হাতে তুলে নিয়েছিলেন চন্দ্র তোমার। নাতনিকে শুটিং প্র্যাকটিসে নিয়ে গিয়ে শুটিংয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তার। যে বয়সে মানুষ অবসরের পরিকল্পনা করেন, সেই বয়সেই নিজের স্বপ্নপূরণের পথে পা বাড়িয়েছিলেন চন্দ্র তোমার। যে গ্রামে মেয়েদের বাইরে গিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে পেশাদার শুটিং-এর পথে পা বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু তিনি থেমে যাননি।

দেশে-বিদেশে নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ঝুলিতে রয়েছে একশোর বেশি পুরস্কার। মিলেছে বহু স্বীকৃতি-সম্মান। এই বর্ণময় দাদীর ক্যারিয়ারে অবশেষে পূর্ণচ্ছেদ পড়ল। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন এই রিভলবার দাদী।