দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৭০তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জন।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৪০ জন। শনাক্তের হার চার দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের দিন বুধবার শনাক্ত হয়েছিল ৮৯২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় চার বিভাগে করোনায় কেউ মারা যায়নি, পাশাপাশি দেশের ৩০ জেলায় নতুন আক্রান্ত নেই।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগি মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৩ হাজার ৪৩৫টি পরীক্ষায় এক হাজার ১৪০ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার চার দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৯টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার ৩৩৬টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও নারী দু’জন মারা গেছেন। তাদের হাসপাতালে (সরকারি ৬, বেসরকারি ১) মৃত্যু হয়েছে। তারা সহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৭ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৮৮১ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৪০৫ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৭। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯৬৯ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ১০ হাজার ১২৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত সাতজনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব দু’জন, ষাটোর্ধ্ব চারজন ও সত্তরঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে একজন ও রংপুর বিভাগে একজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২৯ কোটি ৮৪ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৫ কোটি ৬৯লাখের বেশি।