দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৬৭তম দিনে ২৫ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩৯৩ জন। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩১।
আর নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৮১৮ জন। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৭ হাজার ৮১৮টি পরীক্ষায় ৮১৮ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার চার দশমিক ৫৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৬০টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯২৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৫ জনসহ মোট ১৫ লাখ ১০ হাজার ১৬৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। তাদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে (সরকারিতে ১৯ জন ও বেসরকারিতে ছয়জন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৯৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ২৯৩ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ২৯৬ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। বাসায় ৭৭০ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮১। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫৯৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং নয় হাজার ৭৯৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দু’জন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও আশিঊর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, খুলনা বিভাগে চারজন, সিলেট বিভাগে দু’জন ও রংপুর বিভাগে দু’জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত কোটি ৮৬ লাখের বেশি।