চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনায় যেভাবে ‘উপকার’ হবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের!

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ কবে কাটবে তার নিশ্চয়তা নেই। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এমনটাও কেউ বলতে পারবে না। তবে পৃথিবী আগের ব্যস্ততায় ফিরবে তো অবশ্যই, কিন্তু ফিরলেও ফুটবলকে আগামী কয়েক মৌসুমের জন্য পঙ্গু করে যাবে করোনা; এমনটাই হুশিয়ারি করেছেন উলি হোনেস।

একইসঙ্গে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক সভাপতির বিশ্বাস, অন্তত কয়েক মৌসুম ১০০ মিলিয়ন দিয়ে খেলোয়াড় কেনার মত সক্ষমতা হারাবে ক্লাবগুলো।

বিশ্বের প্রায় সব লিগের মতই করোনা ভাইরাসের কারণে বড় রকমের ক্ষতির মুখে জার্মান পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ লিগ বুন্দেসলিগা। দেশটির শীর্ষ দুই লিগের খেলা স্থগিত হয়ে আছে। আগামী সপ্তাহে লিগ কমিটির সভায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

একটি জার্মান ক্লাবের আয়ের উৎস মূলত তিনটি: টিকিট বিক্রি, সম্প্রচারসত্ত্ব ও বিজ্ঞাপন। মূল আয়ের ১২.৯ শতাংশ আসে টিকিট বিক্রির টাকা থেকে। আর ৫৭.৯ শতাংশ অর্থের যোগান দেয় সম্প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতা। করোনার কারণে ক্লাবগুলো এই তিন জায়গা থেকেই হারিয়েছে আয়।

ক্ষতি হলেও একবার লিগ শুরু হলে আস্তে আস্তে সেটা পুষিয়ে নেয়া হয়তো যাবে তবে চলতি বছর আর লিগ মাঠে না গড়ালে জার্মানির পুরো ফুটবল কাঠামোই ধ্বংসের মুখে পড়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি গত বছরের নভেম্বরে বায়ার্নের দায়িত্ব ছাড়া হোনেসের, ‘একবার লিগ শুরু করতে পারলে কিছুটা উত্থান-পতন থাকবেই। দর্শকদের ছাড়া খেললেও টিভিতে দেখানোর কারণে আয় করা সম্ভব। আর এমনটা হলে ২০১৯-২০ মৌসুমে কোন সমস্যা হবে না।’

‘কিন্তু বড়দিনের আগে যদি লিগ শুরু করা না যায় তাহলে বড় রকমের ক্ষতি আসন্ন, হয়তো পুরো লিগের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে যাবে।’

তবে এত খারাপ খবরের মাঝে করোনার মাধ্যমে ভালো কিছুও আশা করছেন হোনেস। বিগত কয়েক মৌসুমে দল-বদলের নামে যেভাবে অর্থের ছোড়াছুঁড়ি শুরু হয়েছিল তা কিছুদিনের জন্য থামবে বলে বিশ্বাস তার, ‘বর্তমান পরিস্থিতি একটি হুমকি আবার একইসঙ্গে গুছিয়ে নেয়ার একটা সুযোগও। হয়তো নির্দেশ দেয়া লাগবে না তবে আগামী কয়েক মৌসুম কোন ক্লাবই আর ১০০ মিলিয়নের বেশি খরচ করে খেলোয়াড় কিনতে পারবে না।’

‘দল-বদলের মান পড়ে যাবে। আগামী দুই-তিন বছর আর উঠে দাড়াতে পারবে না। সবগুলো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামনে এক নতুন ফুটবল বিশ্ব দেখার অপেক্ষায় সবাই।’