দেশে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবরের মধ্যে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাসের কথা জানিয়ে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি বলছে, ক্ষুদ্র পরিসরে মুজিববর্ষ উদযাপিত হবে। জনসমাগম হবে এমন অনুষ্ঠানগুলো আপাতত পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। হচ্ছে না প্যারেড স্কয়ারের ১৭ মার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও।
রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, মুজিববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার উপস্থিতিতে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘‘করোনা ভাইরাসের কারণে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে জনসমাগম পরিহার করতে জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত আকারে উদযাপন করা হবে। পূর্ব ঘোষিত প্যারেড স্কয়ারে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেটিও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’’
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, আগামীকাল সোমবার বিকালে কমিটির পরবর্তীতে সভায় সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে রোববার বিকালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, তিন আক্রান্তে মধ্যে ১ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। সম্প্রতি তাদের মধ্যে দুইজন ইতালি ভ্রমণ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে উদ্ধৃত করে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন তাই তার জন্মশতবার্ষিকীতে জনকল্যাণ ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান পরিহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষের অন্যান্য কর্মসূচি চলবে। ১৭ মার্চ সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের তার স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং টুঙ্গিপাড়ায় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনসমাগম এড়িয়ে সীমিত পরিসরে মিলাদ, মাহফিলের আয়োজন করা হবে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালনের ঘোষণা করেছে সরকার।
এ উপলক্ষে গঠিত দুুুটি জাতীয় কমিটির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।