চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনায় তৃতীয়বারের মত মৃত্যুশূন্য বাংলাদেশ

২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যান নি

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭৩৮তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যান নি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জন।

এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২১৭ জন।শনাক্তের হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের দিন সোমবার শনাক্ত হয়েছিল ২৩৯ জন।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍মঙ্গলবার ‍সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৩ হাজার ৬৬৭টি পরীক্ষায় ২৩৯ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ১৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২৭১টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৩টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬০০ জনসহ মোট ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৮ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।

মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে ২৪ হাজার ৬৮২ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে তিন হাজার ৬১৩ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাসায় ৭৮২ জন মারা গিয়েছে, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৬৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ৩৫ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৮৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৫২৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৬ কোটি তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৯ কোটি ৩৭ লাখের বেশি।