দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬২৮তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৭০ জন। আর শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় চার বিভাগে কেউ মারা যায়নি, পাশাপাশি দেশের ৩৫ জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৮ হাজার ৮৮৮টি পরীক্ষায় ২৩৭ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৬টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি আট লাখ এক হাজার ৮৬৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে নয়জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের মধ্যে সবার হাসপাতালে (সরকারিতে ছয়জন, বেসরকারিতে তিনজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৭০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৭৮১ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৭৮ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৮। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮৯৯ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৭১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক এক শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত নয়জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব একজন, সত্তোরঊর্ধ্ব পাঁচজন ও আশিঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ছয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে এক জন ও রংপুর বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি ৯৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি।