কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮৫তম দিনে দেশে আবারও সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৪ জনের মৃত্যুতে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ নয় হাজার ৯৬৪ জন। এর আগে গতকাল ৪ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল আট হাজার ৬৬১ জন। গতকাল ১৫৩ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৪ হাজার ২টি নমুনা পরীক্ষায় নয় হাজার ৯৬৪ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তবে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ২০ হাজার ২৬৫টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন নয় লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ১৮৫ জনসহ মোট আট লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৬৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ ও ৫৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৪৮ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ১২৩ জন, বেসরকারীতে ২৫ জন), বাড়িতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে ১ জনকে আনা হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৫ হাজার ২২৯। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৮৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং চার হাজার ৪৪৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৬৪ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৮৩ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে নয় জন, সিলেট বিভাগে আটজন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ৮৯ লাখের বেশি।