চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনার সংক্রমণ থেকে যেভাবে স্কুল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখবেন

করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তখন খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা আবার বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।

বর্তমানে আবারও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো পুনরায় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছে। প্রথমে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।

বিগত কয়েক দিন দেশ জুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তবে এখনও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে যেসব বাচ্চারা নিয়মিত স্কুলে যাবে তাদের দিকে বাড়তি নজর দেয়া অবশ্যই প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা টিকা পায়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে করোনার উপসর্গ কম লক্ষণীয়। জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়ার মতো কিছু কিছু উপসর্গ লক্ষণীয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় ছয়দিন পর বাচ্চাদের মধ্যে এই লক্ষণগুলো ফুটে ওঠে। প্রাথমিকভাবে সাধারণ ঠান্ডা লাগার সঙ্গে এই উপসর্গগুলিকে গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে স্কুলে যাওয়া আসার এই সময়ে বাচ্চাদের যদি কোনও একটিও উপসর্গ দেখা দেয়, অভিভাবকদের উচিত তা হালকাভাবে না নেওয়া।

তবে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া বা ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা বাচ্চাদের মধ্যে দেখা দিলে নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।

আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর বিশষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব বাচ্চা অতিরিক্ত ওজন, ফুসফুস বা অপুষ্টিজনিত সমস্যা বা হাঁপানিতে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছে তাদের জন্য করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হতে পারে। আপনার বাচ্চা যদি এর মধ্যে কোনও একটি সমস্যায় ভুগে থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু বাড়তি সুরক্ষা নেয়া প্রয়োজন।

সাধারণত স্কুলে অভিভাবকরা বাচ্চাদের সুরক্ষা নেয়ার সুযোগ পান না। তাই বাচ্চাদেরকেই এই পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে।

মাস্ক পরে থাকার গুরুত্ব বোঝাতে হবে তাদেরকে। বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করা শেখাতে হবে। বাচ্চাদের পক্ষে স্কুলে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা খুবই কঠিন একটি বিষয়। তবুও অন্তত স্কুল ঘরের মধ্যে না খেলাধুলা করে বাইরে মাঠে খেলার কথা বলে দিতে হবে। কারণ বদ্ধ পরিবেশে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।