কিছুদিন আগেই করোনা সংক্রমণজনিত জটিলতা কাটিয়ে উঠেছেন দুবার অস্কারজয়ী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস। সুস্থ হয়েছেন তার স্ত্রী রিটা উলসনও। একটি সাক্ষাৎকারে টম হ্যাঙ্কস জানিয়েছেন করোনার বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা।
শরীরে খুব ব্যথা ছিল টম হ্যাঙ্কস এর। সাথে যোগ হয়েছিল দুর্বলতা। কিন্তু রিটা উইলসনকে বেশ ভুগতে হয়েছে বলে জানান এই অভিনেতা। কারণ রিটার শ্বাসকষ্ট ছিল।
টম হ্যাঙ্কস বলেন, ‘রিটা আমার থেকে কঠিন সময় পার করেছে। তার জ্বর বেশি ছিল এবং আরও কিছু সমস্যা ছিল। খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ পাচ্ছিল না। প্রায় তিন সপ্তাহ পরে তার স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি ফিরে এসেছে। কয়েকদিন এতই দুর্বল ছিল যে বিছানা থেকে নেমে রুমের কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে হলে মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হতো। তবে এই সমস্যা কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে গেছে।’
অভিনেতা জানান, তাদের আইসোলেশন রুমটি ছিল এয়ার প্রেসারাইজড। মাঝে মাঝে সেখানে ডাক্তার বা নার্স আসতেন।
খুব সাধারণ ব্যায়াম করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়েছে টম হ্যাঙ্কসকে। তিনি জানান, প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে বলা হলেও ১২ মিনিট করেই তিনি ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলেন।
মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতেন টম হ্যাঙ্কস। নিজেকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়েছ?’ এখনও তাদের কোনো ধারণা নেই যে অস্ট্রেলিয়া তারা কীভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন।
রিটা উইলসনও একটি টিভি শোয়ে জানিয়েছেন করোনার দিনগুলোর কথা। তিনি জানান, শরীরে কাঁপুনি দিয়ে হালকা জ্বর ছিল তার প্রাথমিক লক্ষণ। নবম দিনে জ্বর ১০২ এর কাছাকাছি চলে যায়। সময়ের হিসাব ছিল না করোনায় আক্রান্ত থাকার দিনগুলোতে। চিকিৎসকরা ‘ক্লোরোকুইন’ ওষুধ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঔষধের অনেক বিরূপ প্রভাব পড়েছে রিটার শরীরে।
৬৩ বছর বয়সী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস টুইটারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ক্লান্তি, শরীর ব্যথা ও জ্বর অনুভূত হওয়ায় তারা করোনা টেস্ট করিয়েছেন এবং রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
চিকিৎসার জন্য টম হ্যাংকস ও তার স্ত্রী রিটা উইলসনকে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। করোনার চিকিৎসা নেয়ার পর শঙ্কামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে তারা কুইন্সল্যান্ডের একটি বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। করোনা মুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন তারা।
প্রয়াত পপস্টার এলভিস প্রেসলির জীবনের উপর একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আছেম টম হ্যাংকস। ছবিতে তিনি এলভিসের ম্যানেজারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।