দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হওয়ায় আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের ‘এডহক’ বার কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের এসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স এ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ (৮) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে এডহক বার কাউন্সিল গঠন করেছে। যেখানে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন চেয়ারম্যান। এছাড়া এডহক বার কাউন্সিলের অপর সদস্যরা হচ্ছেন: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আব্দুল বাসেত মজুমদার, সৈয়দ রেজাউর রহমান, মোখলেছুর রহমান বাদল, এইচ এ এম জহিরুল ইসলাম খান (জেড আই খান পান্ন), শাহ মো. খাসরুজ্জামান, মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মুজিবুল হক, সিলেট আইনজীবী সমিতির এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির কবির উদ্দিন ভূঞা, খুলনা আইনজীবী সমিতির পারভেজ ইসলাম খান, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির মো. ইয়াহিয়া ও সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির মো.আব্দুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এডহক বার কাউন্সিলের মেয়াদ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। আগামী বছরের ৩১ মে বা তার আগে ‘বার কাউন্সিলের নির্বাচন’ সম্পন্ন করবে। এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বার কাউন্সিল ১ জুলাই ২০২২ দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের পাঠানো এসংক্রান্ত বার্তায় আইন সচিব মো. গোলাম সারোয়ারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর কারণে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই এডহক বার কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।’
২০১৮ সালের বার কাউন্সিল সর্বশেষ নির্বাচনে ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা ১২টি পদে এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা ২টি পদে বিজয়ী হন। এদের থেকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মনোনিত হন। আর পদাধিকার বলে অ্যাটর্নি জেনারেল হল বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ৩ বছর পর আবার গত ১৮ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী ২৫ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি সভা করে গত ৩ এপ্রিল বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার (এমেন্ডমেন্ট), অধ্যাদেশ-২০২১ জারি করে এডহক কমিটির বিধান যুক্ত করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় প্রায় ১ বছরের জন্য এডহক বার কাউন্সিল গঠন হলো।