চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনার নতুন ঢেউ বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে

করোনাভাইরাসে মৃত্যু প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি, আর এবছরের ২৯ মার্চ নতুন করে ৫ হাজার ১৮১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড স্পর্শ করেছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮৯৫ জন। গত ৩/৪ মাস দেশে করোনার প্রকোপ প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেলেও আবারও ভয়াবহ পথে করোনা সংক্রমণ।

সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে এলেই যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দ্বারা পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জনসমাগম সীমিত করা, মাস্ক পরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, অপ্রয়োজনে রাত ১০টার পর ঘর থেকে বের না হওয়া, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত এখন থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে এবং আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।

এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি, সেসব জায়গায় আংশিক লকডাউনের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারকে কক্সবাজার, বান্দরবানের মতো বিনোদনমূলক জায়গাগুলো বন্ধ করা বা লোকসমাগম সীমিত করার পরামর্শও মন্ত্রণালয় দিয়েছে।

এরআগে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ও সংক্রমণের হার ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে সংক্রমণের হার না কমায় সাত দফায় ছুটি বাড়িয়ে টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর ১৩ জুন খোলা হয়েছিল দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, পুঁজিবাজারসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সেই রেশ কাটিয়ে দেশ যখন প্রায় স্বাভাবিক হচ্ছিলো, তখন আবারও শঙ্কার জন্ম দিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

গতবছরের এইসময়ে মানুষের মধ্যে করোনার ভয় ও সচেতনতার ছোঁয়া দেখা গেছে, তা বর্তমানে প্রায় নেই বললেই চলে। করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম হয়তো চলছে দেশে, এবং প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজও নিয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই জরুরি বলে আমরা মনে করি। না হলে করোনার এই নতুন ঢেউ আমাদের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।