ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটির ডিভিশনের ২০ জন পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯ পজিটিভ সুস্থ হয়ে ফিরে এসে তাদের নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে তারা ছাড়পত্র পাওয়ার পর কাজে যোগদান করেন।
এ সময় ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম করোনাজয়ী বীরদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন।
বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মুহিত কবির সেরনিয়াবাত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এসব সহকর্মী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২১ এপ্রিল থেকে ১লা মে মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন।’
‘‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর ফলাফল পজেটিভ হওয়ায় তাদেরকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল। এরপর দুইবার কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসায় তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।’’
এ বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘কূটনীতিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থতার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিন থেকে আমরা সদস্যদের সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করেছি। এর পরেও যেসব সদস্য মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য আমরা পাশে আছি।’
এ সময় ডিপ্লোমেটিক ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা ও পুলিশ লাইন্সের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৮১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরেছেন।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক ধাপে সুস্থ হলেন চার শতাধিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য। এখন পর্যন্ত পুলিশের দশজন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫১১ জন। মারা গেছেন ৪০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬০২ জন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে জনগনের পাশে আছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।