রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ১৯টি অভিজাত হোটেলের ৫৮০টি কক্ষ চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. মো. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জন্য উত্তরার ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ২১০টি, মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য ৮টি হোটেলে (হোটেল অবকাশ, হোটেল জাকারিয়া, হোটেল রেনেসাঁ, ঢাকা রিজেন্সি, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওলা মেরিডিয়ান) ১১০ থেকে ১২০টি, লালকুঠি বাজারের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনটি হোটেলে (গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেল, শ্যামলী ও হোটেল ড্রিমল্যান্ড) ৭০ থেকে ৮০টি, বাবুবাজারের মহানগর জেনারেল হাসপাতালের জন্য তিনটি হোটেলে (রাজমণি ঈশা খাঁ, ফারস হোটেল ও হোটেল ৭১) ৮০ থেকে ১০০ ও কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য তিনটি হোটেলে (হোটেল সাগরিকা, হোটেল গ্র্যান্ড সার্কেল ইন ও হোটেল শালিমার) ৬০ থেকে ৭০টি কক্ষ প্রয়োজন।
এছাড়াও উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় জড়িত চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য স্টাফরা বর্তমানে উত্তরার হোটেল মেফোলিফ ও হোটেল মিলিনাতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে আরও ২০৯ জনের কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২ জনে। শনাক্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রোববার এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পরে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।