চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাভাইরাস: সুস্থতার হার বাড়ছে

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ২৩৭তম দিনে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার যা ছিল ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ৭৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

নতুন করে দেশে ১ হাজার ৩২০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৪২ জন। মারা গেছেন ১৮ জন।

শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১১ হাজার ২০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৩২টি। এ নিয়ে দেশে মোট ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৩২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৮৪ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন। এদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১.৪৫ শতাংশ।

মৃতদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ৫৫৩ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ১ হাজার ৩৭০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।

তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৪২ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব ৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন রয়েছেন।

বিভাগ অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন,  খুলনা বিভাগে ২ জন ও সিলেট বিভাগে ১ জন রয়েছেন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১১ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ কোটি ৩২ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহনও।