দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ২০৫তম দিনে দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার বেড়েছে। সোমবারের এই হার ৭৫.৪৬ শতাংশ। আগেরদিন যা ছিল ৭৫.৩১ শতাংশ।
সোমবার একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মৃতের মোট সংখ্যা ৫ হাজার ১৯৩ জন।
নতুন করে দেশে ১ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এসময়ে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৫৮২ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১১ হাজার ২৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৯২২টি। এ নিয়ে দেশে মোট ১৯ লাখ ২১ হাজার ৩৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৫ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৩২ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ১৯৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১.৪৪ শতাংশ।
তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৮২ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মৃত ৩২ জনের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। মৃতদের ৩০ জন হাসপাতালে মারা গেছেন, ২ জন মারা গেছেন বাড়িতে। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ১৮ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৭.৩৭ শতাংশ এবং ১ হাজার ১৭৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২২.৪৩ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব ৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন রয়েছেন।
বিভাগ অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ কোটি ৪৬ লাখের বেশি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহনও।