করোনাভাইরাস এ আক্রান্তের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় খোলার কিছুদিন পরেই পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাউথ কোরিয়ার ২শ’রও বেশি স্কুল।
একদিনেই সেখানে ৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর আগের দিন সংখ্যাটা ছিলো ৭৯। যেটা গত দুই মাসের পর সর্বোচ্চ। তবে আক্রান্তদের বেশিরভাগই জনবহুল এলাকার বাসিন্দা। দেশটিতে আবার অনলাইন শিক্ষণকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আক্রান্তদের বেশিরভাগই সিউলের পশ্চিমে বুচেওনের বিপণন সেন্টারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ফার্ম এই প্রতিষ্ঠানটি চালায়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধিও খুব কম মানা হয়েছিলো।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, কর্মীদের জুতা ও কাপড়ে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তারা সেই সেন্টারের কয়েক হাজার কর্মীকে চিহ্নিত ও পরীক্ষা করতে পেরেছে।
এরপরেই নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কায় বুচেওনের ২৫১টি স্কুল খোলার কয়েকদিন পরেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর অন্য অনেকে এখনও স্কুল খোলেনি। আগামী দুই সপ্তাহে বিপণন সেন্টারগুলোর সবগুলোতে আরও পরীক্ষণ চালানো হবে।
সিউলের এক শিক্ষার্থী যার মা কোওপাং ওয়্যারহাউজে কাজ করেন তার শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সঙ্গে আগামী ২ সপ্তাহে আরও জোরালোভাবে সামাজিক দূরত্ব বিষয়ে প্রচারণার কথা বলেছে।
সিউলে পাবলিক পার্ক ও জাদুঘরও বন্ধ থাকবে। ব্যবসাতেও ঢিলেভাব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে আর জনগণকে লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতেও সাউথ কোরিয়ায় লকডাউন দেওয়া হয়নি। তার বদলে সেখানে কঠোরভাবে চিহ্নিতকরণ ও পরীক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপই স্বেচ্ছাভিত্তিক কিন্তু জনসাধারণের কাছে সেটা আবেগিক করে তোলা হয়েছে।
জনগণকে বলা হয়, বাচ্চাদের স্কুলে যেতে দিতে এবং তাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত বন্ধ করতে এই ব্যবস্থাগুলি মেনে চলুন। এমন আবেদন অতীতে কাজ করেছে তাই স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা করছেন এটি আরও একবার কার্যকর হবে।
সাউথ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১১ হাজার ৪০০ জন। আর প্রাণ হারিয়েছে ২৫০ জনের বেশি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী তা মহামারী রূপ ধারণ করে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৫৯ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত, আর মারা গেছে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ।