যুক্তরাজ্য করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজের কেন্দ্রস্থলে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি রাখবে। অন্যান্য অনেক সংগঠনের এমন দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে গ্রীনপিস।
বেসরকারি পরিবেশবাদী প্রচারাভিযান সংস্থাটি পরিষ্কার পরিবহন ও স্মার্ট শক্তি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়ে একটি বিশদ ‘ইশতেহার’ তৈরি করেছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্যের বেশ শক্তিশালী ব্যবসায়িক নেতারাও একই আহ্বান জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে দেশটির প্রধানমন্ত্রীও একই চেষ্টার কথা জানিয়েছেন।
বরিস জনসন বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে আরও সুন্দর, সবুজ ও স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি দেখতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও উন্নত করার জন্য আমরা এটা করতে চাই।
ইশতেহারে প্রকৃতিতে সুরক্ষা করা, সবুজ ভবন তৈরি করা এবং এমন একটি অর্থনীতি তৈরিতে সমর্থন থাকবে যেখানে সবকিছু পুন:ব্যবহার করা যাবে।
গ্রীনপিসের মতে, এই সংকট যুক্তরাজ্যকে সারাজীবনে একটি মাত্র সুযোগ দিচ্ছে জীবন, ভ্রমণ ও কাজকে পরিবর্তন করার। এই পরিকল্পনায় লাখ লাখ নিরাপদ চাকরি তৈরি হবে।
সোমবার যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু সেরা ফার্ম যেমন এইচএসবিসি, ন্যাশনাল গ্রিড এবং হিথ্রো বিমানবন্দর প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠান এই মর্মে যে, কোভিড-১৯ লকডাউনকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি চালানোর কাজে।
তবে এই দুটি দলেরই পরামর্শ এক হওয়ায় অনেক অবাক হয়েছেন অনেকে। গ্রীনপিস ও প্রধান নির্বাহীরা সরকারকে কম কার্বনযুক্ত প্রযুক্তিতে উৎসাহিত করছে। আর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে কার্বনমুক্ত করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কথা বলেছে। দুই পক্ষই বলছে, তারা পরিবেশকে কেন্দ্রে দেখতে চায়। দুই দলেই পরিবেশের উপর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে।
গ্রীনপিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জন সওভেন বলেন, সরকার এখন যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটার উপরেই নির্ভর করবে পরিবেশগত জরুরি অবস্থার যুদ্ধে আমরা সফল হবো কি না। এখন যদি সঠিকটা করতে না পারি আর কখনোই সুযোগ পাবো না। সবুজ পুনরুদ্ধারের এটাই সময়। তাই আমাদের কথা নয় কাজ দরকার।
যুক্তরাজ্যের সরকার এরমধ্যেই জানিয়েছে তাদের প্রণোদনা প্যাকেজে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি আরো বড় করে আনা হবে। এর আগে এপ্রিলে বরিস জনসন বলেছিলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় পরিবেশ পরিবর্তনের ঢেউ ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে তারা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ‘সবুজ’ প্রণোদনা দিতে যাচ্ছে। পুনরুদ্ধার প্যাকেজে ৮৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার পরিকল্পনা চলছে বলেও জানা গেছে।