করোনাভাইরাস এর কারণে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদুল আযহার জামাত হচ্ছে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন: ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করেন। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা কঠিন বিষয়। মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদের জামাত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পরিবর্তে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মসজিদে নামাজ আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
‘তবে মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। আর বিষয়টি নজরদারি করবে জেলা প্রশাসন। শুধু শোলাকিয়ায় নয়, জেলার কোথাও কোনো ঈদগাহ বা খোলামাঠে এবারও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।’
জানা যায়, জেলা শহরের প্রধান দুই মসজিদের মধ্যে শহীদী মসজিদে ঈদের দিন সকাল ৮টায় প্রথম জামাত ও ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে পাগলা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ মসজিদে মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কিশোরগঞ্জ শহরের উত্তর-পূর্ব কোণে নরসুন্দা নদীর পাশে শোলাকিয়া এলাকার অবস্থান। জনশ্রুতি রয়েছে, শোলাকিয়া ঈদগাহর প্রথম বড় জামায়াতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছিল। উচ্চারণ বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামটিই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।