বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনই মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১৯ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ৬৮ লাখের বেশি। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষ।
সোমবার ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে এ সাইটটি।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৭৩৫ জন এবং মারা গেছেন ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার ৩৮০ জন।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৪ জন এবং মারা গেছেন তিন লাখ ৮৩ হাজার ২৭৫ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ৪৯০ জন।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৯২ জন। আক্রান্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৩২ জন।
সোমবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ল্যাটিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে। দেশটিতে একদিনে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ১৩৫ জন আক্রান্ত ১৬ হাজার ১০৭ জন।
দ্বিতীয় ধাক্কার সাথে সাথে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু ৫৬৩ আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৯৪০ জন। ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪৮৩,রাশিয়া ৪৫৬, জার্মানি ৩৭৩, ইটালি ৩৬১, কম্বোডিয়া ৩৩৯, সাউথ আফ্রিকায় ৩৩০ জন।
তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৩৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার ২১৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সেই বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে।
১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।