চীন থেকেই করোনাভাইরাসের সূচনা হয়। আর যে শহর থেকে করোনার শুরু হয়েছিলো সে শহরসহ পুরো চীনের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক, এটি পুরনো খবর। নতুন খবর হলো, এরই মধ্যে দেশটি মানবদেহে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
পৃথিবীর বহু দেশ এ নিয়ে কাজ করলেও চীনই প্রথম পরীক্ষামূলক টিকার প্রয়োগ ঘটাতে যাচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন যে, টিকা আবিষ্কার হতে বছর খানিক সময় লেগে যাবে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গতকাল বলেছেন, শুধুমাত্র টিকার আবিষ্কারই পারে করোনার বিস্তাররোধ করতে। তার এই বক্তব্যের একদিন পরই চীন থেকে এলো টিকা প্রয়োগের খবর।
বেইজিংয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য তিনটি টিকার এ অনুমতি দিয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, বেইজিংয়ের সিনোভেক বায়োটেক ও উহানের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্টস পরীক্ষামূলক তিনটি টিকার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন। তারা বলছে, যদি এই টিকার কার্যকারিতা সফল হয়, তাহলে তারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উৎপাদনে যেতে পারবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে টিকা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিন্তু চীনের বিশেষজ্ঞরা এতে সম্ভাবনা দেখছেন। হংকং ইউনিভার্সিটির প্যাথলজির ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক জন নিকলস বলছেন, হঠাৎ করে টিকা মানবশরীরে দেওয়া যায় না। প্রথমে ক্ষুদ্র প্রাণী, তার পর বনমানুষ, এরপর পর্যায়ক্রমে মানবশরীরে প্রয়োগ করতে হয়। তবে চীনের এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাহসী।
চীনে করোনাভাইরাস শুরু হলেও বর্তমানে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়ভাবে দেশটিতে সংক্রমণ নেই বলছে কর্তৃপক্ষ। তবে রাশিয়া থেকে আগত কিছু মানুষের সংক্রমণ হচ্ছে।
চীনে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৮২ হাজার ২৪৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৪১জন।