চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাভাইরাস: পহেলা বৈশাখকে ডিজিটালি স্বাগত জানাবে ছায়ানট

মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে রমনার বটমূলের নিয়মিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের পরিবর্তে ছায়ানটের সীমিত আকারের ডিজিটালি স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান বিটিভিতে সম্প্রচার করা হবে।

শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছায়ানটের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: করোনাভাইরাস দুর্যোগ এবং জনসমাগম সংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে ছায়ানট রমনার বটমূলে নিয়মিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও মিলনমেলার আয়োজন থেকে সরে এসেছে। তবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সীমিত আকারে নববর্ষকে স্বাগত জানাবার একটি উপস্থাপনার সঙ্গে ছায়ানট যুক্ত হয়েছে।

ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুনের সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়: বিপন্ন মানবসমাজকে জাগিয়ে রাখার, বাঁচিয়ে রাখার অনন্ত প্রয়াস চলছে বিশ্বে। এই জীবনযুদ্ধে মনোবল অটুট রাখা অনিবার্য। তাই নতুন বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানানো এখন আর উৎসব নয় বরং জীবনযুুদ্ধ জয়ের শপথ। তাই পিছু না হটে নববর্ষ বরণে ছায়ানট আয়োজন করেছে উজ্জীবনী সুরবাণীর। মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জনসমাবেশ ঘটিয়ে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত সিদ্ধান্তক্রমে এই উদ্যোগ।

এতে জানানো হয়: বিটিভি কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে সংশ্লিষ্টজনদের যথাসাধ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখেই পহেলা বৈশাখ সকালে একটি ডিজিটাল উপস্থাপনা হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে সাম্প্রতিক নানা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নির্বাচিত গান এবং বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুনের সমাপনী কথন দিয়ে। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাতটায়। বিটিভি সম্প্রচার ছাড়াও এই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলে।

এ অনুষ্ঠানের সম্প্রচারে আগ্রহী বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোকে বিটিভির সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়: পাকিস্তানি আমলের বৈরী পরিবেশের বাঙালির আপন সত্তার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আর মানবকল্যাণের ব্রত নিয়ে ১৯৬১ সালে ছায়ানটের জন্ম। এই সংগঠন আজন্মই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। লক্ষ্য অর্জনে ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে ছায়ানট। ১৯৭১ সালে দেশকে শত্রুমুক্ত করার সশস্ত্র সংগ্রামের সময় ছাড়া আর কখনও বন্ধ হয়নি রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন। তবে এবার করোনা মহামারীর কারণে সেই ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হতে যাচ্ছে।