দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৭৮তম দিনে নতুন করে ১ হাজার ৯৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯০ জন।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৮১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছুসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ২০৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.৯৭ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৯৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০.১৬ শতাংশ। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৩১৬। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১.৩৭ শতাংশ।
তবে, এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৯০ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ১৭৭। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬.১০ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ৩২ জন হাসপাতালে ও বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ৩৮৫ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৮.৪৩ শতাংশ এবং ৯৩১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২১.৫৭ শতাংশ।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৮ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ কোটি ৭৯ লাখের বেশি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।