দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৩৪তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৬ জন।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৯৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৬২৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৪৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৫২৫ জন। মোট আক্রান্ত শনাক্তের হার ১৯.৮৯ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬১৮-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৪৬ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
ডা. নাসিমা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের পুরুষ ২৯ জন এবং নারী আটজন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব ২০ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং ৯০ বছরের বেশী বয়সী একজন ছিলেন।
মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, আটজন চট্টগ্রাম বিভাগের, সাতজন খুলনা বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে ছিলেন রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮৬ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।