করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে নতুন আরও ৩০৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে বাসা থেকে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জন মারা গেছেন। ফলে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩০৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ১৪৪ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও আটজন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।
বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়। আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৪১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১৭৪ জনকে। সবমিলিয়ে তিন হাজার ৮১৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। আর এই সময়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পান চার হাজার ২৬ জন।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ২২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৯০ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রোববার এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পরে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।