চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১২৫১, মৃত ২১

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৭৩তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪০৮ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও নয় হাজার ৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ৪৪৯টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৫টি।

তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ২৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ১২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭০-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪০৮ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার হাজার ৯৯৩ জন।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের ১৩ জন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন, তিনজন বাসায় এবং পাঁচজন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন। বয়সের দিক থেকে একজন ১১ থে‌কে ২০ বছরের, দুজন ২১ থে‌কে ৩০ বছ‌রের, দুজন ত্রিশোর্ধ্ব, পাঁচজন চল্লিশোর্ধ্ব, পাঁচজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, চারজন ষাটোর্ধ্ব এবং দুজন সত্তরোর্ধ্ব।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন এবং ময়মন‌সিং‌হ, ব‌রিশাল ও খুলনা বিভা‌গের একজন ক‌রে রয়েছেন। ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানীতে সাতজন এবং জেলায় দুজন, নারায়ণগঞ্জে দুজন, গাজীপুরে দুজন ও নরসিংদীতে একজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় একজন, কুমিল্লা জেলায় দুজন, চাঁদপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্য তিন বিভাগের মধ্যে শেরপুর, বাগেরহাট ও ঝালকাঠিতে একজন করে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন তিন লাখের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাড়ে ১৭ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।