করোনাভাইরাস এ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
অন্যদিকে আরও ১৩৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ৩৯ জন।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে বাসা থেকে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৪৩ জন নারী। মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৬২১। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জন মারা গেছেন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪ জনে। নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। এছাড়া যারা আগে থেকে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে আরও তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত শনাক্তের শতকরা ২৫ ভাগ হচ্ছে বয়স বিভাজনে ৩১-৪০ বছরের মধ্যে। এরপরে রয়েছে ২১-৩০ বছরের যারা শতকরা ২১ ভাগ শনাক্ত হয়েছেন। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যদিও আমরা বয়স ভিত্তিক বিভাজন দেখাচ্ছি কিন্তু যে কোন বয়সের মানুষই এখন সংক্রমিত হতে পারে। করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রতিরোধের কোনো বয়স সীমা নেই। সুতরাং প্রত্যেককেই প্রতিরোধের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বুলেটিনে বলা হয়, বর্তমানে সারাদেশে মোট ২০ হাজার ৫২৫জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯ হাজার ১১১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এক হাজার ৪১৪ জন আছেন।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে ১৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় এক লাখ আট হাজার ৯৬২ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রোববার এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পরে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।