করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধে সৌদি সরকার দেশটির নাগরিক ও বসবাকারী বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য ৪ এপ্রিল থেকে বন্দর ও শিল্প নগরী জেদ্দার ৬টি স্থানে ২৪ ঘণ্টা কারফিউ জারি করেছে।
ওই জায়গাগুলো হলো: কিলো ১৪, (উত্তর), কিলো ১৪ (দক্ষিণ), কিলো ১৩, মাহাজার, গুরাইয়াত, পেট্রোমিন।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সকল এলাকায় কারফিউ’র পাশাপাশি লকডাউনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসব এলাকা থেকে বাইরে না যাওয়া এবং বাইরে থেকে ওই এলাকায় প্রবেশ না করার জন্য সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে একান্ত জরুরি চিকিৎসা সেবা ও জরুরি খাদ্যদ্রব্য কেনাকাটার জন্য এই এলাকার ভেতরে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে (সকাল ছয়টা হতে বিকেল তিনটার মধ্যে) বের হওয়া যাবে।
একইভাবে ইতোপূর্বে যাদেরকে কাজের স্বার্থে কারফিউর আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল তারা এসব এলাকায় অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলাফেরা করতে পারবে। এই নির্দেশনা জনস্বার্থ বিবেচনায় জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে সেখানে প্রচুর সংখ্যাক বাঙালির বসবাস। তবে বিষয়টি জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানানো হয়েছে।কনস্যুলেট থেকে ওই সব স্থানে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশিদের চলমান পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারণ করে নিজেদের কল্যাণে সৌদি রাজকীয় সরকারের সব নিদের্শনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সৌদি আরবে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১৭৯ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪২০ জন।
ইতোমধ্যে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে করোনা আক্রান্তদের ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি সরকার। এক্ষেত্রে সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদেরও বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে।