করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না আলমগীর কবীর (৪৫)। ছিল না কোনো লক্ষণ। তারপরও কোনো চিকিৎসক তার কিডনির ডায়ালিসিস করতে রাজি হননি। কয়েকদিন ধরে চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন তিনি।
ভারতে থেকে কিডনির চিকিৎসা করিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন আলমগীর।
সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। যশোরের চৌগাছা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল তিনি ভারত থেকে কিডনির চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন। ওইদিনই তাকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ভর্তির পরপরই তার কিডনির ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডায়ালসিসের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে ডাক্তাররা যোগাযোগ করেন। তবে রোগীর করোনা পরীক্ষার ফলাফল ছাড়া যশোরের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল তার ডায়ালিসিস করাতে রাজি হয়নি।
এরপর করোনা পরীক্ষার জন্য ওই রোগীর নমুনা পাঠানো হয় খুলনার ল্যাবে। ১৫ এপ্রিল রাতে খুলনা থেকে ওই রোগীর করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট আসে করোনা নেগেটিভ।
পরে ফলাফল নিয়ে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা ফের বেসরকারি হাসপাতাল ইবনে সিনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। আজ (বৃহস্পতিবার) তার ডায়ালসিস করতে রাজি হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই রোগী মারা যান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ‘গত ১০ এপ্রিল চৌগাছা উপজেলার এক বাসিন্দা ভারত থেকে কিডনি রোগের চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন। শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও সরকারি নির্দেশনার কারণে তাকে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।’