দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৩০তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৩৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৯৬ জন।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩০৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ৫৩৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জন। মোট আক্রান্ত শনাক্তের হার ১৯.৭৫ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৫৭-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৯৬ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫ হাজার ২৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং নারী ৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৪০ জন পুরুষ এবং ৫১৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং নারী ২১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় যে ৩৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৩ জনের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুইজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের এবং তিনজন রংপুর বিভাগের। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন এবং বাসায় ৮ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।