দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৭১তম দিনে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে ২ হাজার ৫৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জন মারা গেছেন।
করোনার প্রকোপ ঠিক কোন পথে এগোচ্ছে, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না বর্তমান পরিস্থিতিতে। দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৮ জন। আগামী দিন নিশ্চয় ৩ লাখ আক্রান্তের মাইলফলক অতিক্রম করবে।
বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার পরীক্ষা করা হচ্ছে, এতে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে। বিষয়টি খুবই চিন্তার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিন লাখের ওপরে পরীক্ষা করে কিছুদেশে ৫ থেকে ৭ শতাংশ চিহ্নিত হচ্ছে, যা গবেষকদের ভাষায় মোটামুটি সহায়ক বলে ধরা হচ্ছে।
সংখ্যাতত্ত্বের ভিত্তিতে পরিস্থিতি মারাত্মক বলে মনে হলেও গেল কয়েকমাস হলো এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের জনজীবন মোটামুটি স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে। শিক্ষাখাতে শুধুমাত্র কড়াকড়ি রয়েছে, তাও খুলে দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
করোনা ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। পরীক্ষাধীন থাকা নানা ভ্যাকসিন আশার আলো দেখালেও তা প্রয়োগ পর্যায়ে আসতে যে আরো সময় লাগবে, তা বোঝা যাচ্ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ কমাতে নানা ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, শিথিল ও স্বাভাবিক জনজীবন এবং করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর ঘটনা দেখে বোঝা যাচ্ছে না, কোথায় গিয়ে থামবে এই মৃত্যুর মিছিল। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনে আবারও কিছুদিনের জন্য কঠোর হয়ে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। আমাদের আশাবাদ, সংশ্লিষ্ট সকলে এ বিষয়ে মনোযোগ দেবেন।