করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়া ১ হাজার ১১৯ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে অনেকেই আবার জনগণের সেবায় কাজে যোগদানও করেছেন। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের উন্নত ও মানসম্মত ‘চিকিৎসা ও সেবায়’ সুস্থতার হার দ্রুততার সাথে বাড়ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) মো. সোহেল রানা।
গত ২৬ মে পর্যন্ত নতুন করে ১৫২ জন আক্রান্তসহ বাংলাদেশ পুলিশের ৪ হাজার ৫৩ জন সদস্য জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সহকর্মী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ সেবার দৃপ্ত শপথ বুকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
সোহেল রানা বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
‘‘একই সাথে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশ আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সাথে বাড়ছে সুস্থতার হার।’’
চলমান করোনাযুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের প্রধান অগ্রসেনানী বাংলাদেশ পুলিশ। এ কারণে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সবার আগে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবুও একবিন্দু দমে না গিয়ে শক্ত মনোবল আর পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ পুলিশ।