করোনা সংক্রমণের কারণে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব উদ্যোক্তা সমস্যায় পড়েছেন তারা ঋণের কিস্তি পরিশোধে বাড়তি তিন মাস সময় পাবেন।
ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা কিস্তি দিতে না পারলেও খেলাপি হবেন না। পাশাপাশি দণ্ড সুদ ও অতিরিক্ত ফি, চার্জ বা কমিশনও আদায় করা যাবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ‘ঋণ, লিজ, অগ্রিম শ্রেণিকরণ’ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণিকরণ বিষয় ইতোপূর্বে শিথিলতা আনা হয়েছিল। কোভিডে উদ্ভূত কোনো কারণে যেসব গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়বেন তাদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের মার্চ মাসের ঋণের কিস্তি জুন মাস পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহক। এ সময় ঋণ বিরূপমানের শ্রেণিকরণ (খেলাপি) করা যাবে না। একইসঙ্গে দণ্ড সুদ ও অতিরিক্তি ফি, চার্জ বা কমিশনও আদায় করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন-১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো যা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।