কম্বোডিয়ার সুপ্রিম কোর্ট দেশটির প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে (সিএনআরপি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আল-জাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার দেওয়া রায়ে বিরোধী দলের ১১৮ জন সদস্যকে ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যে বিচারক রায় দিয়েছেন, তিনি নিজেও ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিউপিল’স পার্টির (সিপিপি) সদস্য।
রায় ঘোষণার আগেই ধারনা করা হচ্ছিল এমন সিদ্ধান্তই আসবে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন বুধবার বলেছিলেন, সিএনআরপি’কে নিষিদ্ধ করতে ‘আমি জীবন বাজি রাখবো’।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের আগে থেকেই প্রকাশ্যে সিএনআরপি’র আইনপ্রণেতাদের দলত্যাগে উদ্বুদ্ধ করছিলেন সেন।
এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী নমপেনের সুপ্রিম কোর্টের চারপাশ জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশ ও সামরিক বাহিনী জায়গাটি অবরুদ্ধ করে রাখে।
নমপেনে থাকা একজন সাংবাদিক আল-জাজিরাকে জানান, এর আগে কখনোই তিনি রাজধানীতে এতো পুলিশের উপস্থিতি দেখেননি। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম গোপন রাখেন তিনি। প্রায় এক দশক ধরে নমপেনে বাস করছেন বলেও জানান।
সিএনআরপি’র বিরুদ্ধে আগে থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছিলো, যার সর্বশেষ নজির এই রায়।
রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে সিএনআরপি’র নেতা কেম সোখা’কে সেপ্টেম্বরের শুরুতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সিপিপি’র পতন ঘটাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ।
২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সোখা রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের কথা বলছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এ অভিযোগে ১৫ থেকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এছাড়াও সাবেক সিএনআরপি নেতা স্যাম রেইনজি মানহানির মামলার মুখে ২০১৬ সালে ফ্রান্সে পালিয়ে যান। প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং কর্মী কেম লেইকে হত্যার পরিকল্পনা করছে সেন প্রশাসন, এমন অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
সেই বছরেই রেইনজিকে মানহানির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এই মাসের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট সেই অভিযোগ আমলে নেন।