চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কমে গিয়ে আবারও বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা

২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত

বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের আঘাত থেমে নেই। দুদিন আগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা আবারও বেড়ে গেছে।

ওয়ার্ল্ডওমিটার বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন। মারা গেছে প্রায় ৫ হাজার। দুদিন আগে এই সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৬ জন। আর মৃত্যু ছিলো ৩ হাজার ৫৩ জন।

আক্রান্ত ও মৃত্যুতে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল এগিয়ে থাকছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাটি যথাক্রমে ২১ হাজার ৮৮২ জন ও ১১৩৪ জন। ‍দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু ছিলো ৭৩০জন। যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৫৯ হাজার এবং মারা গেছে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৯ জন।

সম্প্রতি করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি আঘাত করে চলেছে ব্রাজিলকে। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৭ হাজার এবং মারা গেছে ১ হাজার ২৩২ জন। যদিও দুদিন আগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১৪ হাজার ৫৫৬ জন এবং মৃত্যু ছিলো ৭৩২ জন। ব্রাজিলে মোট করোনা আক্রান্ত লোকের সংখ্যা এখন ৫ লাখ ২৯ হাজার ৪০৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ২৭৮ জন। বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি।

ওয়াল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার মধ্যে এখন করোনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৮২১ জন এবং মারা গেছে ২২১ জন। ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ১৯১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮২৯ জনের। সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত এখন সপ্তম স্থানে।

গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৩৮ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৭৮ জন। পাকিস্তানে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৯৮ জন মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬২১ জন। পাকিস্তান করোনা আক্রান্ত দেশের মধ্যে ১৮তম স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে উঠে গেছে ২১ তম স্থানে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৯১১ জন  এবং মারা গেছে ৩৭ জন। বাংলাদেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজার ৪৪৫ জন ও মোট মৃত্যু ৭০৯ জন।

সম্প্রতি ইতালির একজন চিকিতসক ভাইরাসের তীব্রতা হ্রাস পাচ্ছে বলে যে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন, তা নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাসের তীব্রতা কমার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।