কমিউনিটি সেন্টার না থাকা, মশার কামড়, রাস্তায় আলোর ঘাটতি আর অনিয়মিত ড্রেন পরিষ্কারসহ নানা নাগরিক সুবিধার বাইরে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ডবাসী। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে সন্তুষ্ট তারা।
পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর আর দক্ষিণ গোড়ানের সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর বিশাল এলাকা নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় দুই নম্বর ওয়ার্ড। বসবাস প্রায় ৩ লাখ লোকের। দীর্ঘ সময় নিয়ে উন্নয়ন কাজ চলায় যেমন আছে ভোগান্তি, তেমনি উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ওয়ার্ডের নিচু অঞ্চলের মানুষ।
এলাকাবাসীরা বলছে, কমিশনারের কাছ থেকে সঠিক সেবা তারা পাচ্ছে না। নিজেকের টাকা খরচ করেই তারা বিভিন্ন কাজ করে থাকে। যানজট ওয়ার্ডবাসীর নিত্যসঙ্গী। আছে চাঁদাবাজিও। এর সঙ্গে প্রশাসনের লোক জড়িত বলেও অভিযোগ।
বসন্তের শুরু থেকেই মশার উৎপাত। মশক নিধন কর্মসূচী এখনো শুরু হয়নি অনেক এলাকায়।
এলাকাবাসীরা জানায়, মশা নিধকের ওষুধ এলাকায় দেওয়া হয় না, আর কমিশনারের এ ব্যাপারে কোন চিন্তা নেই কারণ তার মশা লাগে না সে এসি রুমে ঘুমায়, মশা লাগে গরীব মানুষের।
তবে ৪৪ বছর পর গোড়ানের মানুষ পেতে যাচ্ছে খেলার মাঠ। অনেক জায়গায় বসেছে সিসি ক্যামেরা। রাতে এলাকায় পরিচয় ছাড়া ঢোকা অসম্ভব।
শূন্য থেকে শুরু করায় সবার কাছে নাগরিক সেবা পৌঁছাতে দেরি হলেও আশাবাদী ওয়ার্ডের তরুণ কাউন্সিলর।
দুই নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর আনিসুর রহমান তালুকদার বলেন, আমি গোড়ানকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল শহর রূপে বাস্তবায়ন করব। চাঁদাবাজি সম্পর্কে কমিশনার বলেন, বাস ও টেম্পু স্টান্ডে যরা চাঁদা নেয় তারা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিগত দশ পনেরো বছর ধরেই চাঁদা আদায় করছে।
এক সময়ের মাদকের আখড়া গোড়ানকে মাদকমুক্ত করতে রাতেও অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন তরুণ এ কাউন্সিলর।