কমিউনিটি পুলিশিং মূলত কমিউনিটি-বান্ধব, প্রো-অ্যাকটিভ এবং সমস্যার সমাধানমূলক পদ্ধতি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন: সকলের ঐকান্তির প্রচেষ্টায় দেশে আগামী ২৮ অক্টোবর পালিত হবে কমিউনিটি পুলিশিং ডে। বিভিন্ন সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা হলো ‘কমিউনিটি পুলিশিং’।
তিনি আরো বলেন, এই কমিউনিটি পুলিশিং সামাজিক সমস্যা সমাধানের কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে পারস্পারিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের কাজ করে জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়ে থাকে।
আইজিপি বলেন, কমিউনিটি পুলিশের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সমাজের বহুবিধ সমস্যা সমাধানে সম্পৃক্ত করে পুলিশ ও জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কার্যকর ও টেকসই গণমুখী পুলিশি ব্যবসা গড়ে তোলা।
কমিউনিটি পুলিশিং কাদের জন্য এ বিষয়ে আইজিপি বলেন: অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। সভা, সেমিনার, মতবিনিময়, র্যালি, লিফলেট, পোস্টার ও নানামুখী প্রচারণার মাধ্যমে অপরাধবিরোধী জনমত ও গণসচেতনতা তৈরি করা।
তিনি বলেন: সমাজের কোন সমস্যা যা জনগণকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে সে সকল সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে পুলিশ ও জনগণের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা।
শহীদুল হক বলেন, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ, এই মূলমন্ত্র হোক দেশের সকলের অঙ্গীকার। জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে সাধারণ জনগণ এবং পুলিশকে এক কাতারে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান আইজিপি।