স্বর্ণের রেকর্ড পরিমাণ দামের বৃদ্ধির পর তা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
মঙ্গলবার বাজুসের নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী: প্রতি ভরিতে কমানো হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। আজ পর্যন্ত যার দাম ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা।
বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে: স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
কিসের উপর নির্ভর করে কম-বেশি হয় স্বর্ণের দাম:
কখনও কমে এবং কখনও বেড়ে যায় স্বর্ণের দাম। কিসের উপর নির্ভর করে স্বর্ণের দাম কম-বেশি হয় তা অনেকেরই প্রশ্ন। কেবল একটি কারণে চকচকে এই ধাতুটির দামের তারতম্য হয় না। দামের ওঠা-নামার পিছনে রয়েছে কয়েকটি কারণ।
মুদ্রাস্ফীতি:
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে স্বর্ণের
দামের সম্পর্ক সমানুপাতিক অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাই তখন স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে। ফলে এর দামও বৃদ্ধি পায়।
কূটনৈতিক পরিস্থিতি:
কূটনৈতিক পরিস্থিতি স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন বিষয় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি করতে পারে, কারণ এসময় স্বর্ণের চাহিদার তুলনায় জোগান কমে যায়। যেমন, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল আক্রমণ করার পর থেকে স্বর্ণের দামও বাড়তে শুরু করেছে।
ইউএস ডলারের দাম:
স্বর্ণ কেনার ক্ষেত্রে অনেক দেশ ইউএস ডলারের ওপর নির্ভর করে। ডলার শক্তিশালী হলে একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে বেশি পরিমাণ স্বর্ণ কেনা যায়। তাই ডলারের দাম বাড়লে স্বর্ণের দাম কমে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে সোনার দামে টানা পতনের অন্যতম কারণ ছিল ডলার ইনডেক্স অনুযায়ী ইউএস ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা এবং আমেরিকার ১০ বছরের বন্ড ইল্ড ১৬ বছরে সবচেয়ে মূল্যবান হওয়া।
বিকল্প বিনিয়োগের মাধ্যম:
বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহার অলঙ্কারের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকের সুদ বাড়লে বা শেয়ার বাজার শক্তিশালী হলে বিনিয়োগকারীরা এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেন। তাই তখন স্বর্ণের চাহিদা কমে যায়।