চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কমলো শনাক্তের হার, নতুন মৃত্যু ১৭

করোনাভাইরাস

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ২৪০তম দিনে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। গতকাল সোমবার যা ছিল ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশে। নতুন করে মারা গেছে ১৭ জন।

নতুন করে দেশে ১ হাজার ৮৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৬১ জন।

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১৪ হাজার ৭৩২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬১টি। এ নিয়ে দেশে মোট ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৬৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৪ লাখ ১২ হাজার ৬৪৭ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৭ জন। এদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১.৪৫ শতাংশ।

মৃতদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ৬০৪ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ১ হাজার ৩৭৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৮৬ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী ১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৮ জন রয়েছেন।

বিভাগ অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন রয়েছেন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৭৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১২ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ কোটি ৪০ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে।